প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১:১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার প্রধান সরকারি খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গণমাধ্যমে প্রকাশ সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিশাল চক্রবর্তী দখল হওয়া খাল ঘুরে দেখেন এবং এই খাল দখলমুক্তসহ উন্মুক্ত করতে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বড্ডাপাড়া গরু বাজার থেকে তিন- চার গ্রামের সরাইল- অরুয়াইল আঞ্চলিক সড়কে উচালিয়া পাড়া মোড় হতে অন্নদা মোড় পযর্ন্ত পানি নিষ্কাশন সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে। সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে'র পুর্বপাশে দখলের বাকী অংশটুকু নতুন করে ভরাট করে দখল করার পায়তারা করছে একটি মহল।
এদিকে জানাযায়, খাল রেখে সরকারি অর্থায়নে ড্রেইন নির্মাণের কাজ চলছে। এখন খালটির অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সরাইল সদর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই খাল। বিভিন্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনে এ খালটির অবদান অনেক। গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুট্রাপাড়া ঝাংগালিয়া খালে সংযুক্ত হয়েছে এই খালটি। বর্তমানে খালটি অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে রাজনৈতিক নেতা জানান, এই খালটি এলাকার প্রাণ।
এ খাল ভরাট করার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেইন করা হচ্ছ। অনেক বছর ধরেই খালের বাকী এ অংশটুকু দখল করার পায়তারা চলছে। আমাদের এ খালটি দিয়ে এক সময় নৌকা চলাচল করতো, বর্তমানে খালটি দখল হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় এলাকার স্বার্থে ড্রেইনের কাজ চলছে। সুযোগ সন্ধানে কিছু লোক রয়েছে দিনের কোন ফাঁকে বা রাতের অন্ধকারময় সময়ে ড্রেইনের কাটা মাঠি খালের বাকী অংশে মাঠি ফেলে ভরাট করে যাচ্ছে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলেন, প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। তবেও বিষয়টি প্রশাসনের কঠোর ভাবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন। যদি এ মুহুর্তে খালটি পুনরুদ্ধার না করে তাহলে খালটি তার নিজস্ব অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে।সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা বলেন, সরকারি খাল কোন ভাবে কেউ দখল করতে পারবে না। যদি কেউ দখল করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।