স্বামী রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভোগ করতে এসে বিপাকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের শরিফ প্রধান কান্দির মৃত মোঃহানিফ প্রধানীয়ার স্ত্রী রাহিমা বেগম ও তার মেয়েরা। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি তে বাড়ি করতে এসে প্রাণনাশের ভয় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে হানিফ প্রধানিয়ার মেয়েরা। পৈত্রিক ভিটি না থাকায় তারা ফসলি জমিতে ঘর তোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানে ঠাঁই মেলেনি চাচাতো ভাইদের ঘরে, থাকতে হচ্ছে নানা বাড়ি। এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান এবং সালিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা বাবার সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য।
হানিফ প্রধানিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম জানান আমার ২ একর ৮৩ জমি গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে বুঝাইয়া দেয় আমি গত বছর এই জমিতে মাটি বান্ধি এবং ফসল করি আমার ফসল কাইটা নিয়া যায় শফিউল্লাহ। দ্বিতীয় জমিতে আমি মরিস ফালাইছি তার উপর দিয়ে আবার তারা কলই ফালাইছে। আমাদের সম্পত্তি লিখে দিতে বলে আমরা দেই না বলে আমার মেয়েদের মারধর করে বস্ত্র হানি করে শফিউল্লাহ ও তার ভাইয়েরা।
হানিফ প্রধানিয়ার মেয়ে আল হাফিজ বলেন আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি আমার চাচাতো ভাইয়েরা জোর দখল করে আছে। আমাদের বাড়িতে থাকতে দেয় না আমরা এখানে ঘর তুলব তারা আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমরা ঘর তুলতে আসছি বদলা সরাইয়া দিছে আমার বড় চাচাতো ভাই শফিউল্লাহ আমাদেরকে মারধর করছে আমাকে গলা টিপে ধরেছে।
শফিউল্লাহ প্রধানীয়া জানান হানিফ প্রধানিয়া আমার চাচা যখন সে এইখান থেকে চলে যায় তখন তার সকল সম্পত্তি বিক্রি করে যায় যদি আমার চাচি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে বা আইনের মাধ্যমে পায় আমরা তাকে সকল সম্পত্তি দিয়ে দিব। কাল তারা মাটি কাটতে আসছিল আমরা মাটিকাটা শ্রমিকদের বলি আপনারা মাটি কাইটেন না।এই জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে মেম্বাররা সমাধান করার পর কাজ করতে আইসেন। এই সময় কাকি আমাকে কয়েকটা লাঠি দিয়ে পিটান দিছে সাথে চাচতো বোন কোদাল নিয়ে এগিয়ে এসেছিল তখন আমি বাড়ি চলে আসি।
দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল জানান আমরা এই জমিটা নিয়ে এর আগে কয়েকবার দরবার সালিশ করি। কিন্তু কাগজপত্রের বাহিরে কেউ না কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা বসে এটা একটি সুষ্ঠু সমাধান করব।সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান যেহেতু এটি জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় তাই আমরা তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।