আশাশুনিতে পিচের রাস্তা খুড়ে বানানো হচ্ছে ইটের রাস্তা, জনপ্রতিনিধিদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: সোমবার ১১ই মার্চ ২০২৪ ০৬:০০ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে পিচের রাস্তা খুড়ে বানানো হচ্ছে ইটের রাস্তা, জনপ্রতিনিধিদের ক্ষোভ

সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সাথে খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার সংযোগ রাস্তার মানিকখালী থেকে বড়দল অংশে রস্তার বেহাল দশা। পিচের কার্পেটিং করা রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়া স্থান গুলোর কার্পেটিং সংস্কার না করে বসানো ইট।   পিচের কার্পেটিং করা রাস্তার রুপ বদল করে নির্মিত রাস্তায় ইট ব্যবহার করায় সাধারণ জনগণ থেকে স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের। 


সবমিলিয়ে পিচের কার্পেটিং করা রাস্তার রুপ পাল্টে সেই মান্ধাতার আমলের ইটের রাস্তা করায় যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় জুড়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে,আশাশুনি উপজেলার সাথে খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা সহ একই উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান রাস্তাটি বড়দল ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত। কয়েক শত বছর আগে গড়ে উঠে দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বড়বাজার বড়দল বাজার বা বড়দল হাটে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। 


প্রতিদিন সাতক্ষীরা জেলা ও আশাশুনি উপজেলা শহরে যাওয়া সহ বিভিন্ন কাজে প্রায় দশ কিলোমিটার এই রাস্তাটিতে ছোট বড় হাজার হাজার পরিবহন যাতয়াত করে।  বহু বছর আগে আশাশুনি থেকে বড়দল বাজারে এই রাস্তাটি ইটের হেজিং তুলে করা হয় কার্পেটিং এর রাস্তা। পাশাপাশি এই রাস্তার দুই প্রান্তে দুটি ব্রীজ নির্মান করা হয়। প্রথমে মানিকখালী ব্রীজটি নির্মানের ফলে আশাশুনি সাথে এই রাস্তা মাধ্যমে সংযোগ ঘটে বড়দল ইউনিয়ন সহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের অন্যদিকে এই রাস্তার অপর প্রান্তে নির্মিত বড়দল ব্রীজটি সংযোগ করে খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলাকে। 


আশাশুনি-বড়দলের এই পিচের রাস্তা তৈরি হওয়ার পর বহুবার এই রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু গত বছর রাস্তা সংস্কারের নামে খুড়ে কয়েকটি স্থানে বসানো হয় ইট। আর চলতি বছরে এই ইট বসানোর কাজ চলছে অনেক স্থানে। এদিকে গত বছর বসানো ইটের গু গুনগত মান ভালো না হওয়াতে রাস্তাটি নষ্ট হওয়ার পথে। রাস্তায় এই অবস্থা সম্পর্কে স্থানীয় মটর ভ্যান চালক আহম্মদ আলী বলেন- আমার বয়স প্রায় ৫৫ বছর, আমি এতটুকু বয়সে জীবনে কখনো দেখিনি পিচের রাস্তা খুড়ে ইটের রাস্তা বানানো হয়। এটা মানুষের সাথে তামাশা বলে জানান তিনি। 


এবিষয়ে স্থানীয় বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা বলেন-আমি সহ আমার ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের একই প্রশ্ন পিচের বদলে ইট কেন? গত বছর প্রথম যখন পিচের কার্পেটিং খুড়ে ইট বসানো হয় তখন স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছে আমি প্রশ্ন করেছিলাম এবং তাদের কাজ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তারা বলেছিলেন এটা সাময়িক সংস্কার কিন্তু সেই সংস্কার স্থায়ী হয়ে গেছে। পিচের কার্পেটিং এর সংস্কারতো হয়নি বরং চলতি বছরে আবারও পিচের কার্পেটিং খুড়ে নতুন করে ইট বসানো হচ্ছে।


 অপরদিকে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ মাহমুদ  বলেন-এধরনের রাস্তা সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলাতে করা হয়েছে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হওয়াতে এই ধরনের সংস্কারের প্লান আমি এখানে যোগদানের আগে ইঞ্জিনিয়াররা করেছেন। পিচের কার্পেটিং করা রাস্তা খুড়ে ইট বসানোর কারনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আপত্তি সম্পর্কে তিনি বলেন- এগুলো ইঞ্জিনিয়ারদের বিষয়,এটা ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান, এগুলোর বিষয়ে সাধারণ জনগণ বা জনপ্রতিনিধিরা কি বুঝবেন?