কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে ১৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের ফলাফলে স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুল জারি করেছেন আদালত। হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে এই নিয়োগ আটকে গেল। জারি করা রুলে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ না করার অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অভিযোগ তদন্ত করে ফল পুনঃপ্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন ও কৃষি সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) চেয়ারম্যান ও কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মো. রাশেদুল ইসলামসহ চাকরিপ্রার্থী ৩৩ জনের করা এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রোববার ওই আদেশ ও রুল জারি করেন। ' বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এস এম মাহিদুল ইসলাম। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. সালাহ উদ্দিন দোলন।
১৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ৫ হাজার ১১৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। এই পরীক্ষা শেষে ১৬৫০ জনকে চূড়ান্ত করে গত ১৭ জানুয়ারি ফল প্রকাশ করা হয়।
এরপর রিট আবেদনকারীরা ওই ফল প্রকাশে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি মর্মে অভিযোগ এনে কৃষি সচিব ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে অভিযোগ অনুসন্ধান করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় রিট আবেদন করা হয়।