টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ ও যুবলীগের দুই নেতার হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তিনি টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগে হাইকোর্ট যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানাকে স্থায়ী জামিন দেন। ১৯ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ওই মামলায় সাবেক এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। পরবর্তীতে এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে সোমবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায়ও হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এরপর মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে সাবেক এমপি রানা টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পর সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ঢাকায় ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার জন্য সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এরআগে টাঙ্গাইল কারাগার গেটে কঠোর নিরাপত্তা নেয়া হয়। পুলিশ ও কারারক্ষীরা কারাগারের আশে-পাশে কাউকে ভিড়তে দেয়নি। এদিকে সকালে থেকেই তার কর্মী-সমর্থকরা কারাগার গেটে ভিড় করতে থাকে। এ সময় কারারক্ষী ও পুলিশ তাদের দূরে সরিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা বিগত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। সে সময় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।