খাদ্যপণ্যে টেক্সটাইলের রঙ ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, মানুষের বাঁচার কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত ফলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিচারপতি এফ এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করার পর আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার। বিএসটিআইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে কাজ হচ্ছে না। আমের বাজারে ফরমালিন পরীক্ষার বিষয়ে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে হাইকোর্ট পুলিশ ও র্যাবকে আবারও প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৩ জুন দিন ধার্য করেছেন।
এ সময় র্যাবের ডিজি, পুলিশের আইজিপির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি রিপোর্টও আদালতে দাখিল করা হয়। পরে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে অথচ ক্ষতিকর রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র কেনার অর্থ দেয়া হচ্ছে না!
এর আগে গত ২০ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে যেন আমে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে তা তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যান ও বিএসটিআইয়ের পরিচালককে এ মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।