প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৯
জুলাই আন্দোলন চলাকালে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার ও গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংয়ের কণ্ঠ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মিলে গেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক রুকনুজ্জামান। তিনি সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ তথ্য জানান।
রুকনুজ্জামান বলেন, পরীক্ষা করার জন্য ওই অডিও রেকর্ডিং তাদের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার পর দেখা যায় নারীকণ্ঠ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এবং পুরুষকণ্ঠ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে মিলে গেছে।
আদালতে ওই অডিওটি বাজানো হলে হাসিনা ও তাপসের কথোপকথন শোনা যায় বলে জানান তিনি। এসময় সিআইডি কর্মকর্তার জেরা শুরু হলে কিছুক্ষণ পর আদালত মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায়।
জানা গেছে, অডিওটি মার্চ মাস থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া বহু অডিওর একটি। এসব অডিওতে হাসিনার কথোপকথন ছিল যা রেকর্ড করেছিল ন্যাশনাল টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)।
এর আগে চলতি মাসে একই ফাঁস হওয়া অডিওর অংশ পরীক্ষা করে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তারা জানায়, ওই রেকর্ডিংয়ের কথোপকথন আন্দোলন দমন নিয়ে হাসিনার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেয়।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের মতে, এই অডিও রেকর্ডিংটি আন্দোলনকারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশনার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বক্তব্য আদালতে উপস্থাপিত হলে তা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর থেকে অডিওটি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন মহল এই অডিওর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক করলেও ফরেনসিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে।
আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে এই অডিও রেকর্ডিং পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়ায় কতটা প্রভাব ফেলবে। এদিকে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা অডিওটির আরও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ চালিয়ে যাবে।