প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা সব আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর ফলে এই মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যান্য আসামিরা খালাস পেলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার শুনানি শেষে আদালত সর্বসম্মতভাবে রায় প্রদান করে।
আদালতে তারেক রহমান ও বাবরের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তারা যুক্তি তুলে ধরেন যে, মামলায় পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়নি এবং আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। তারা আসামিদের সাজা বহাল রাখার পক্ষে আদালতে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেন।
তবে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি রাষ্ট্রপক্ষের আপিল গ্রহণ না করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। আদালত মনে করে যে প্রমাণের ঘাটতি থাকায় আসামিদের বিরুদ্ধে দেওয়া শাস্তি বহাল রাখা যায় না।
এই রায় ঘোষণার পর মামলাটিকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক ও আইনি আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত ও বহুল প্রতীক্ষিত এ মামলার রায় নিয়ে নানা মহলে আগ্রহ ছিল।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস ঘটনার একটি। আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো ওই হামলায় বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছিল। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া দুই দশক ধরে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলে।
সর্বশেষ আপিল বিভাগের রায়ের ফলে মামলার সব আসামি খালাস পাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এ রায় ভবিষ্যতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।