ভোলার মনপুরায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট নুরু মিয়া আইনজীবিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করা সহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানীর প্রতিবাদে গত ৬ দিন ধরে লাগাতার কোর্ট বর্জন করে আসছে আইনজীবিরা। এবার ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যাহারের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোর্ট বর্জনের ডাক দিল এপিপি সহ আইনজীবিরা।
সোমবার থেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সকল কার্যক্রম আইনজীবিরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করবে বলে নিশ্চিত করেন মনপুরা আইনজীবি ফোরামের আহবায়ক এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, ওই ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আইনজীবিরা কোর্ট করবে না।
এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আইনজীবিরা কোর্ট বর্জন করায় বিপাকে পড়েছে শত শত বিচারপ্রার্থীরা। তারা দ্রæত বিষয়টি সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এপিপি আলাউদ্দিন হাওলাদার, এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, নিমাই চন্দ্র দাস, নাজিম উদ্দিন রাহাত সহ আইনজীবি নেতারা অভিযোগ করে জানান, ওই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইনজীবিদের সাথে কোর্ট চলাকালীন খারাপ আচরন করে। এছাড়াও তিনি জামিনের ধারা অযোগ্য ও ওনার বিচারকি ক্ষমতা না থাকার পরও তিনি বিশেষ ব্যাক্তিদের সুপারিশে জামিন দেন।
আইনজীবিরা আরও জানান, ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকি ক্ষমতার বাহিরে গিয়ে জিআর ১২/১৬ চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্ঠা মামলার ৩৮০/৩৮৫/৩০৭ ধারায় এজাহার ও চার্জশীটভূক্ত আসামীদের জামিন দেন বিশেষ এক ব্যক্তির সুপারিশে।
এই ব্যাপারে ভোলা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ফরিদুর রহমান ও সম্পাদক নুরনবী মিয়া জানান, মনপুরার আইনজীবিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের প্রতিবাদে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যাহারের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোর্ট বর্জনের বিষয়টি আমরা অবগত আছি।
এই ব্যাপারে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক নুরু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কোর্টের কার্যক্রম নিয়মমাফিক চলছে। এর বাহিরে তিনি কথা বলতে চাননি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।