ধূলামুক্ত হিলি শহরের দাবিতে সড়কে স্থানীয়রা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরের ফোরলেন রাস্তার অসমাপ্ত কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও ধুলামুক্ত হিলি চাই এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলি বন্দর শহরকে ধুলামুক্ত শহর গড়তে সড়কে নেমেছে স্থানীয়রা। হাতে ঝাড়ু নিয়ে সড়কের ধুলা পরিষ্কার করছেন তারা।বায়ুদূষণ রোধ করতে তাদের এ অভিযান।

শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১০ টায় হিলি সিপি হতে একটি বিশাল র‍্যালি বের করে স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণ। র‍্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শহরকে ধুলামুক্ত করতে ঝাড়ু দিয়ে সড়কে থাকা ধুলাবালি পরিষ্কার করেন তারা।

র‍্যালিতে অংশ গ্রহণকারীরা  বলেন, আমরা হিলিবাসী, আজ আমরা অসহায়, আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। হিলিতে রয়েছে স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন নেই। সড়কের বেহাল দশা, অল্প বৃষ্টিতে কাঁদা আর হাঁটু পানি হয়। একটু রোদ হলে ধুলায় শহর অন্ধকারে ঢেকে যায়। লোকজন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারে না। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের ধুলা আর ময়লায় চলাচলে কষ্ট হয়।

তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন হিলির ফোরলেন সড়কের চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে সকল আমদানি রফতানি গাড়িসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে আছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তা আর ধুলায় রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারে না। আমরা দেশের নাগরিক, সরকারের নিকট আমাদের দাবি দ্রুত সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করে, সুন্দর একটি শহর উপহার দিবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্যোক্তা জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন, হিলি স্থলবন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর। এ বন্দর থেকে সরকার বছরে কয়েক শো কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকেন। অথচ এই বন্দর সড়কের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। ধুলাবালির শহর হিলি। আজ আমরা নিরুপায় হয়ে উপজেলার সকল জনগণ একত্রে হয়েছি, শহরকে ধুলামুক্ত করার জন্য। যতদিন শহরকে ধুলামুক্ত করতে না পারবো ততদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি নিজেও ঝাড়ু হাতে নিয়ে রাস্তার ধূলা পরিস্কার করেন।