ভারত ৪৭১ কোটির চুক্তি বাতিল করল চীনের সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৯শে জুন ২০২০ ১২:২২ অপরাহ্ন
 ভারত ৪৭১ কোটির চুক্তি বাতিল করল চীনের সঙ্গে

ভারত-চীন সংঘাতের আবহে বড়সড় সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের। চীনা সংস্থার সঙ্গে ৪১৭ কোটির চুক্তি বাতিল করে দিল ভারতীয় রেল। এ সিদ্ধান্তের ফলে চীনার ওই সংস্থা বড়সড় সমস্যার মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে সরকারি সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের ৪জি আপগ্রেডেশনে যাতে কোনও ভাবেই চীনা সামগ্রী না ব্যবহার করা হয় সেজন্যে বলা হয়েছে। এরপরেই রেলের সঙ্গে চুক্তি হওয়া সংস্থার সমস্ত কিছু বাতিল করে দিল মোদি সরকার।

২০১৬ সালে কানপুর-দীনদয়াল উপাধ্যায় পর্যন্ত ৪১৭ কি.মি. দীর্ঘ ফ্রেট করিডোরে সিগনালিং ও টেলিকমের দায়িত্বে লাগানোর বরাত পায় চীনা সংস্থা চায়না রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যান্ড কমিউনেশন নিগম। সেই চুক্তি বাতিল করল ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন। যা অবশ্যই বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।অন্যদিকে, কেন্দ্রের মোদি সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ চিনা ইলেকট্রিকাল দ্রব্য ব্যবহার করে ৪জি আপগ্রেডেশন করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সংস্থা বিএসএনএলকে একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএলকে কেন্দ্রীয় টেলিকম বিভাগ জানিয়েছে, ৪জি আপগ্রেডেশনের জন্য কোনও ভাবেই চীনা দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ভারতে তৈরি ইলেকট্রিক্যাল দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে। নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।টেলিকম দফতরের সিদ্ধান্ত এই প্রেক্ষিতে নতুন করে টেন্ডার ডাকা হবে। ৪জি আপগ্রেডেশনের পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে করা হবে। প্রাইভেট মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার ও অপারেটর কোম্পানিগুলিকেও একই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়ার মত টেলিকম কোম্পানিগুলি বর্তমানে হুয়াওয়েই নিয়ে কাজ করছে। লাদাখে ভারত চীন সংঘর্ষের পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।মোদি সরকার মনে করছে মোবাইলে তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি চিনা কোম্পানির যন্ত্র ব্যবহার করার পর নিরাপদ থাকছে না। ফেব্রুয়ারি মাসে রিলায়েন্স জিও জানিয়েছিল তারা কোনওভাবেই কোনও চিনা নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করেই ৫জি নেটওয়ার্কে আপগ্রেডেশন করবে।মুকেশ আম্বানি জানিয়েছিলেন, গোটা বিশ্বে এই প্রথম কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হচ্ছে, যেখানে চিনা কোনও সার্ভিস প্রোভাইডারের সাহায্য বা চিনা যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।