পোপ ফ্রান্সিস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত!
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালি। ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আন্তর্জাতিকভাবে নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও ইতালিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে আক্রান্ত হয়েছে ৮৮৮ জনের মতো। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২১ জন। প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এগারোটি শহরের - মোট ৫৫,০০০ বাসিন্দাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। অনেকেই তাকে অবিরাম হাঁচি দিতে ও কাশতে দেখছেন। সার্জিক্যাল মাস্ক দিয়ে তার মুখও ঢাকা রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার ভাষণও বাতিল করা হয়েছে। এর পর থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে পোপ ফ্রান্সিস কি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত?
ইতালিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ভ্যাটিকানে বসবাসকারী পোপ ফ্রান্সিসের শরীরেও তা বাসা বেঁধেছে কিনা, সেই আশঙ্কা করা অমূলক নয় মোটেও। যদিও পোপ ফ্রান্সিসের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি এসব জল্পনা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। পোপের কার্যালয় সূত্রের বরাতে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত নন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, গতকাল রোববার রোমের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল পোপ ফ্রান্সিসের। সঙ্গে ভ্যাটিকানের গণ্যমান্যদেরও থাকার কথা। কিন্তু আচমকা প্রায় শেষ মুহূর্তে সেই সফর বাতিল করে দেয়া হয়। ওই দিন বিকালে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে ক্যাথলিকদের বিশেষ ধর্মীয় আচার উপলক্ষে জমায়েত হওয়া হাজার জনের সমাবেশে অসুস্থ পোপকে দেখা যায়। কথা বলতে বলতেও বারবার কেশে উঠছিলেন ৮৩ বছর বয়সী পোপ।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করেন দেন, দুর্ভাগ্যবশত আমি ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে গেছি। এবার আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছি না। আমি বাড়ি থেকেই সব নিয়মাবলি পালন করব। আপনাদের সঙ্গে থাকব।
সূত্রের খবর, পোপ ফ্রান্সিসের ফুসফুসের একটি অংশ বাদ পড়েছিল মাত্র ২০ বছর বয়সেই। যখন তিনি বুয়েনস আয়ার্সের বাসিন্দা ছিলেন। এখন, তিরাশিতে পৌঁছে সেই সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। পায়ে সাইটিকার ব্যথা হওয়ায় তাঁকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপির মধ্যেও থাকতে হয়। সিঁড়ি ভাঙা নিষেধ। প্রথমদিকে মনে করা হচ্ছিল, এসব শারীরিক সমস্যার জেরে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। ভ্যাটিকান সূত্রেও তেমনই খবর ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা যায়, তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, একের পর এক ভাষণ বাতিল করতে হচ্ছে। কারণ, ভাষণ দেওয়ার মতো অবস্থায় পোপ নেই। আপাতত ভ্যাটিকানের সান্তা মার্তা গেস্টহাউসে তিনি রয়েছেন। নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে। আর সেটাই আরও আশঙ্কা তৈরি করছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।