আমেরিকান মেরিন সেনাদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৭শে জুলাই ২০১৯ ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
আমেরিকান মেরিন সেনাদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে নারী ও শিশুসহ মানব পাচার এবং মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে দেশটির ১৬ মেরিন সেনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেক্সিকো সীমান্ত থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের সবাইকে ক্যালিফোর্নিয়ায় অন্যতম বৃহৎ মার্কিন মেরিন ঘাঁটি ক্যাম্প পেনডেলটনে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন সামরিক বিভাগ। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৬ মেরিন সেনাকে আটক করা হয়েছে। দলটির বিরুদ্ধে মানব পাচার থেকে শুরু করে মাদক সম্পর্কিত অভিযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। মানব পাচার আগের একটি মামলার তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নতুন এ দলটিকে আটক করা হয়।

এর মধ্যে ৮ জনকে মাদক চোরাচালান নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মানব পাচার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং একটি অবৈধ-অমানবিক মানব বাণিজ্য। এ ব্যবসাটি পরিচালিত হয় বলপূর্বক শ্রম, যৌনদাসত্ব এবং বাণিজ্যিক যৌনশোষণ দ্বারা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা অইএলওর তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে মানব পাচারের মাধ্যমে ১৫০ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করা হয়। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী, সারা দুনিয়ায় ২.১ কোটি মানুষ মানব পাচারের শিকার হয়ে আধুনিক দাসে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৪২ লাখ (প্রায় ৬৮ শতাংশ) শ্রমশোষণের শিকার, ৪.৫ মিলিয়ন (২২ শতাংশ) যৌনশোষণের এবং বাদবাকি ২.৩ (প্রায় ১০ শতাংশ) রাষ্ট্রের তরফ থেকে জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হয়। নারী ও শিশু পাচারের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম সারির দেশগুলোর একটি যুক্তরাষ্ট্র।

গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ৮৩ শতাংশ যৌনকর্মী স্বদেশীয় অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচারকারীদের মাধ্যমে যৌন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। এই ৮৩ শতাংশের মধ্যে বড় একটি অংশ বয়সে শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্কা যৌনকর্মী। এর জন্য রয়েছে বিশাল এক আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এর সঙ্গে যেমন যোগ আছে নামকরা রাজনীতিকদের তেমনি বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এএফপি জানায়, মেক্সিকোর কয়েকজন অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগে গত মাসে আটক করা হয় বাইরন ডারনেল ল দ্বিতীয় ও ডেভিড জেভিয়ার সালাজার কুইতারো নামে দুই মেরিন সেনাকে আটক করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার ১৬ জনের বড় দলটিকে আটক করা হয়। মেরিন সেনা বিভাগের মুখপাত্র মেজর কেন্দ্রা মোতজ বলেন, ল ও সালাজার ও ওই ১৬ সেনা একই ইউনিটের সদস্য।

ইনিউজ ৭১/এম.আর