দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনার রঙে সেজেছে ‘ট্যাঙ্গো ডিটেনএস’ নামে একটি বিমান। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের স্মরণে আগামী ২৫ মে মঙ্গোলিয়ার মোরন বিমানবন্দরে উন্মোচন করা হবে এটি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন বলছে, ট্যাঙ্গো ডিটেনএস উন্মোচন করার দিন সেখানে উপস্থিত থাকবেন আর্জেন্টিনার সাবেক ডিফেন্ডার হুয়ান পাবলো সোরিন ও দেশটির রক ব্যান্ড দল রাতোনেস প্যারানোইক্সের সদস্যারা। রক ব্যান্ডটি অনুষ্ঠানে ‘প্যারা সিয়েম্প্রে দিয়াগো’ গানটি গাইবে।
শুধু রক ব্যান্ড দল রাতোনেসই নয়, ওই অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আর্জেন্টাইন গায়িকা ভালেরিয়া লিঞ্চও। মূলত তিনি গান গেয়েই বিমান উন্মোচন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, আর্টিস্ট ও নামিদামি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন।
ম্যারাডোনা ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের দর্শন বদলে দেওয়া এক ব্যক্তিত্ব। যার হাত ধরে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে। বলা হয়ে থাকে, ছিয়াশির বিশ্বকাপে মেক্সিকোয় একাই দেশকে বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দেন ম্যারাডোনা। ক্লাব ফুটবলেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। ইতালির অখ্যাত এক ক্লাব নাপোলিকে ইউরোপ মঞ্চের ট্রফি এনে দেন তিনিই, জেতান লিগ শিরোপাও।
খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর পর ম্যারাডোনা করান কোচিংও। আর্জেন্টিনা ছাড়াও তিনি আরও সাতটি দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন। অবশ্য কোচিং ক্যারিয়ারে খুব বেশি সফল ছিলেন না তিনি। ম্যারাডোনার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে। সেবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পিটার শিল্টনের ওপর দিয়ে হাতে একটি গোল করেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার। ইংল্যান্ড ম্যাচটি হারে ২-১ গোলে। পরে ম্যারাডোনা গোলটি হাত দিয়ে করেছিলেন বলে স্বীকারও করেন।
১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। তার জীবনটা ছিল নাটকীয়তায় ভরা। ফুটবল ক্যারিয়ারের পরেও তিনি সব সময় থেকেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবেও গণ্য করা হয় তাকে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ঘুমের মধ্যই চির ঘুমের দেশে পাড়ি জমান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।