উ. কোরিয়ায় গিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ৩০শে জুন ২০১৯ ০৫:২৫ অপরাহ্ন
উ. কোরিয়ায় গিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ট্রাম্প

দুই কোরিয়াকে বিভক্ত করে, এমন একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের সাথে দেখা করার পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার ভেতরে প্রবেশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অসামরিকীকৃত এলাকাটিতে কিম জং-আনের সাথে করমর্দন করে একটি ছবি তোলার পর এই পদক্ষেপকে 'বড় অগ্রগতি' হিসেবে উল্লেখ করেন মি. ট্রাম্প। তবে সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু অন্যান্যদের মতে, এই পদক্ষেপের কারণে ভবিষ্যতের আলোচনার পথ সুগম হতে পারে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই দুই নেতার শেষ আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া সমাপ্ত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত হওয়া ঐ ব্যর্থ বৈঠকের পর এবারই সাক্ষাৎ করছেন দুই নেতা।

কেন গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে এই বৈঠককে?
এই বৈঠকের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি বিধায় এটিকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছবি তোলার একটি উপলক্ষই মনে করছেন অনেকে। তবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার পথে দুই দেশের চলমান আলোচনার অগ্রগতির প্রাথমিক লক্ষণও মনে করা হচ্ছে এই সাক্ষাৎকে। সিঙ্গাপুরে মি. ট্রাম্প এবং মি. কিমের ঐতিহাসিক প্রথম সাক্ষাতের সময় উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার আলোচনা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে। সেসময় কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলকে 'সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত' করার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় দুই নেতাই, তবে কেউই পরিষ্কার করেনি এর মাধ্যমে কী বোঝাচ্ছেন তারা। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে তাদের দ্বিতীয় বৈঠকে আশা করা হয় যে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর কিছু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার বদলে তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম হস্তান্তর করবে দেশটি। তবে কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে, সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় ঐ বৈঠকটিও ব্যর্থ হয়। এরপর দুই নেতার মধ্যে আলোচনা থেমে গেলেও গত কয়েক সপ্তাহে দু'জনের চিঠি আদান প্রদান হয়েছে বলে জানা যায়।

আসামরিকীকৃত অঞ্চল কী?
১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় ৪ কিলোমিটার প্রস্থ এবং ২৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি এলাকাকে অসামরিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেটি কোরিয় উপদ্বীপকে বিভাজিত করেছে। সংজ্ঞা অনুযায়ী যদিও ঐ অঞ্চলে কোনো সামরিক স্থাপনা বা ব্যক্তি নেই, এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিকায়িত এলাকাগুলোর মধ্যে মনে করা হয়। দুই কোরিয়ার মধ্যে সব আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় সামরিক সীমানির্দেশকারী লাইনের পরে অবস্থিত পানমুনজম গ্রামের 'জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া' বা যৌথ নিরাপত্তা অঞ্চলে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর