বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হেনেছে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই রাজ্যের পুরী ও গোপালপুরে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। উপকূলবর্তী ওই দুই এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে শক্তিশালী ‘ফণী’। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।এদিক ফণীর মতো আরেকটি ঘূণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে অন্য প্রান্তের একটি মহাদেশও।শক্তিশালী সাইক্লোন ‘কেনেথ’ ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিককে। এর কারণে নিহত হয়েছে ৩৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।মাস খানেক আগে ইদাই ঘূর্ণিঝড়ে আফ্রিকায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৭৫০ স্থানীয় মানুষ। কেনেথও ভয়াবহ রূপেই হামলা করেছে।প্রায় ১৭৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইছে সে দেশে। ভেসে গেছে শতাধিক গ্রাম। পেম্বা, মালওয়ি ও জিম্বাবোয়েতে বন্যা ও ভূমিধ্বসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
কেনেথ মোজাম্বিকের উত্তর উপকূল থেকে যতই ভেতরের দিকে অগ্রসর হবে ততই দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। এর প্রভাবে প্রায় ২০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে।ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে মোজাম্বিকের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কয়েক হাজার মানুষ আটকে পড়েছেন। বাতাসের মারাত্মক গতিবেগের কারণে বন্যা ও ভূমিধসও শুরু হয়েছে দেশটিতে।এরই মধ্যে ৪০ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। কোমোরোস দ্বীপ হয়েছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।গ্রামাঞ্চলগুলোয় আটকে পড়াদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতির কারণে তাঁদের বেশ হিমশিম খেতে হলেও প্রায় ২০ হাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়স্থল, স্কুল ও গির্জায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।১৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দলকে বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে নিযুক্ত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।