নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে শুক্রবার জুমা পড়তে আসা মুসল্লিরা যখন অস্ট্রেলীয় শ্বেতাঙ্গ জঙ্গির নির্বিচার গুলিতে লুটিয়ে পড়ছিলেন, তখন ট্যাক্সিচালক আবদুল কাদির আববোরা নিজেকে ফ্লোরে ছুড়ে মারেন। তিনি পবিত্র কোরআন রাখা একটি শেলফের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেন। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন, যেন নিজের সন্তান ও স্ত্রীর মুখ দেখার সুযোগ পান।-খবর এএফপির
শুক্রবার এক খ্রিস্টান জঙ্গির এলোপাতাড়ি গুলিতে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদের অর্ধশত মুসল্লি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিন বছরের শিশু থেকে ৭৭ বছর বয়সী বৃদ্ধও রয়েছেন। এই ভয়াবহ হামলা থেকে আবদুল কাদির শেষ পর্যন্ত অক্ষতই থেকে গেলেন। রোববার ঘটনাস্থলে যখন তিনি আসেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে তখন বলেন, এটি শুধুই অলৌকিক ঘটনা। যখন আমি চোখ খুলি, তখন আমার চারপাশে লাশের স্তূপ।
ইথিওপিয়া থেকে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে আসেন আবদুল কাদির। পরে নিস্তরঙ্গ শহর ক্যান্টাবুরিতে বসবাস শুরু করেন। দুই সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, মসজিদের ইমান যখন কেবল খুতবার ইংরেজি তরজমা পড়া শুরু করেছেন, আর তখনই শুরু হয় এলোপাতাড়ি গুলি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।