ডেলিভারি বয়ের যোগ্যতা জেনে খাবার অর্ডার দিয়ে খোদ গ্রাহকই "অনুতপ্ত"

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:২৩ অপরাহ্ন
ডেলিভারি বয়ের যোগ্যতা জেনে খাবার অর্ডার দিয়ে খোদ গ্রাহকই "অনুতপ্ত"

দেশের বর্তমান কর্মসংস্থানের করুণ অবস্থা প্রকট হচ্ছে বারবার। কিছুদিন আগেই তামিলনাড়ুতে সাফাইকর্মী পদের জন্য ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ পাশ করা ছেলেমেয়েদের আবেদন করা ঘিরে হইচই পড়েছিল দেশ জুড়ে। যোগ্য কাজের অভাবের সেই চিত্র সম্প্রতি ফের সামনে এল ভাইরাল হওয়া একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে। কলকাতার কলেজ ছাত্র শৌভিক দত্ত একটি নামকরা ফুড ডেলিভারি সংস্থার মাধ্যমে খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন। অর্ডার ডেলিভারি পাওয়ার সময় তিনি জানতে পারলেন তাঁকে যে ছেলেটি খাবার পৌঁছে দিতে আসবে সে কমার্সে স্নাতকোত্তর। পোস্ট গ্রাজুয়েশন করা একজন যুবক খাবার পৌঁছে দিতে আসবে দেখে খারাপ লাগে শৌভিকের। তিনি সমস্ত বিষয়টি ফেসবুকে লেখেন। সঙ্গে দেশের কর্মসংস্থানের এই অবস্থা পরিবর্তনেরও আর্জি জানান।

ফেসবুকের ওই পোস্টে শৌভিক লিখেছেন, ‘জোমাটো থেকে খাবার ডেলিভারি পাওয়ার সময় নিজেকে অনুতপ্ত মনে হচ্ছিল।’ তারপরই নিজের অনুতাপের কারণ তুলে ধরেছেন তিনি। খাবার অর্ডার দেওয়ার পর ডেলিভারির এজেন্টের পরিচয়ে লেখা ছিল, ‘মিরাজ একটু পরই খাবার নিয়ে পৌঁছবে। সে কমার্সে স্নাতকোত্তর। বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষাতেই কথা বলতে পারে সে।’ কমার্সে স্নাতকোত্তর মিরাজ শৌভিকের হাতে খাবার পৌঁছে দিয়ে যখন বলেছিল, ‘স্যার একটু রেটিংটা দিয়ে দেবেন।’ মিরাজের মুখে এই কথা শোনার পর তাঁর ভীষণ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন শৌভিক। শৌভিক প্রশ্ন তুলেছেন, একজন স্নাতকোত্তর যখন একজন স্নাতক স্তরের কলেজ ছাত্রকে খাবার পৌঁছে দিয়ে যায় তখন সেই ছাত্রের কাছে কী বার্তা যায়? এরপরই দেশের এই অবস্থার পরিবর্তনের কথা বলেছেন তিনি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর