পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল এক গ্রহাণু ‘২০২৪ ওয়াইআর-৪’। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) নিশ্চিত করেছে, এটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। তবে আঘাত হানার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রথমদিকে এর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু নতুন তথ্য অনুযায়ী সম্ভাবনাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশে। নাসার ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদি এটি আঘাত হানে, তাহলে বিস্ফোরণের শক্তি হবে প্রায় ৮ মিলিয়ন টন টিএনটির সমান—যা হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
এ গ্রহাণুর ব্যাস ১৩০ থেকে ৩০০ ফুটের মধ্যে। এটি পৃথিবীতে আঘাত করলে ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভাব্য আঘাতের স্থান হিসেবে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশ, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলকে। ঝুঁকিতে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরসহ আরও কয়েকটি দেশ।
এখন পর্যন্ত এটি টরিনো স্কেলে ৩ নম্বর হুমকি স্তরে রয়েছে—যা ২০০৪ সালের ‘অ্যাপোফিস’-এর পর সবচেয়ে বিপজ্জনক সতর্কতা হিসেবে বিবেচিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি এখনো অনেক দূরে থাকায় সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে না।
জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই ‘প্ল্যানেটারি ডিফেন্স প্রটোকল’ সক্রিয় করেছে। প্রয়োজনে নাসা ‘কাইনেটিক ইমপ্যাক্ট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর গতিপথ পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।