প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৬
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে) দলের জনসভায় পদদলনের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এ ঘটনায় আরও ৪০ জন আহত হন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রমানিয়ান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৮ জন নারী, ৯ জন পুরুষ এবং ১০ শিশু রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জনসভায় থালাপতি বিজয় মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার পর অনেকেই তাকে কাছ থেকে দেখতে ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে যান। এই সময় দমবন্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অনেকে অচেতন হয়ে পড়েন এবং পদদলনের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকেরা পরিস্থিতি সামলানোর আগেই অনেকে আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে বিপুলসংখ্যক লোক থালাপতি বিজয়কে একনজর দেখার জন্য ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে আসেন। শিশু ও পরিবারের সদস্যরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত সমস্যা সৃষ্টি হয়। লোকজন হুড়োহুড়ি করে সামনের দিকে যাওয়ায় অনেকেই জ্ঞান হারান।
পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, জনসভায় ধারণার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ সমাগম করেছেন। প্রায় ৩০ হাজারের আশা থাকলেও প্রায় ৬০ হাজার মানুষ উপস্থিত হওয়ায় প্রবেশপথগুলোতে জট সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত ভিড় পদদলনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেককে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আহতদের তত্ত্বাবধানে নিয়েছেন এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে।
ঘটনার পর চেন্নাইয়ের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে জনসমাবেশের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয় জনগণ এই পদদলনের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ও মানসিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক মহলে সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চেন্নাইয়ে পদদলনের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জনসমাবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্ব পুনরায় সামনে এনেছে। প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।