প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩
দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে ইয়েমেন থেকে পুনরায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে সতর্ক সাইরেন বাজতে থাকে এবং লাখ লাখ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে ইসরাইলের দাবি, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, শনিবার ভোরে ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ভূখণ্ডের দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হামলার পর ইসরাইলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড তৎক্ষণাৎ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে।
প্যালেস্টাইন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সময় তেল আবিবে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে থাকে। আল-মায়াদিনের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, দখলকৃত ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় সতর্ক সাইরেন শোনা যায়। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হলেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কালকিলিয়া ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার কারণে এ ধরনের শব্দ শোনা গেছে। আল জাজিরাও নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আটকে দিয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার ইয়েমেনি হুথি নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি আল-মাসিরাহ টিভিতে জানিয়েছিলেন, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ‘প্যালেস্টাইন-২’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নেগেভ অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে বহু ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা আশ্রয়কেন্দ্রে পালাতে বাধ্য হয়।
সারি আরও জানান, তাদের ড্রোন ইউনিট অতিরিক্ত দুটি অভিযান চালায়। এক অভিযানে দুটি ড্রোন ব্যবহার করে এলাত সংলগ্ন রামন বিমানবন্দর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়, আরেকটিতে একটি ড্রোন নেগেভের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। এ অভিযানগুলো গাজায় ইসরাইলি কর্মকাণ্ড ও ইয়েমেনের ভূখণ্ডে আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
সারি জোর দিয়ে বলেন, ইয়েমেন ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। সাম্প্রতিক হামলার মাধ্যমে ইয়েমেন তার সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া আরও হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ গাজা ও ইয়েমেনের নিরাপত্তা সংকটের দিকে কেন্দ্রিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, চলমান উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেলে মানবিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল রূপ নিতে পারে।