প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১৮:০
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এগারোতম দিনে গড়িয়েছে, আর এই দ্বন্দ্বে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার মাত্রা। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল ‘পরম বন্ধু’র সমর্থন পেয়ে ইরানের ভেতরে একের পর এক সামরিক স্থাপনা ও কৌশলগত বিমানবন্দরে আঘাত হানছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে হামলা চালিয়ে দখলদার মনোভাবের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে দেশটি।
তবে পাল্টা জবাবে চুপ থাকেনি ইরানও। তারা ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কৌশলগত স্থাপনায় আঘাত হানার ফলে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এলাকাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ৩৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে সাইরেন বেজেছে।
টাইমস অফ ইসরায়েল ও চ্যানেল থার্টিনের তথ্যমতে, ১৩ জুন সংঘাত শুরুর পর এটাই ছিল সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার ঘটনা। এতে ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে এবং নাগরিক জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন জানিয়েছে, অবকাঠামো পুনরুদ্ধার ও ঝুঁকিপূর্ণ সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। জরুরি মেরামত কার্যক্রমে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে বিভিন্ন নিরাপত্তা ও জরুরি সেবা সংস্থা।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কৌশল এখন পুরোপুরি আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে, আর ইরান সমানতালে পাল্টা আঘাত করে যাচ্ছে।
সংঘাত থামার কোন লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের আরও বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।