প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১২:১
চার দিন ধরে চলমান ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সোমবার পর্যন্ত ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ২২৪ জন এবং ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারা গেছেন কমপক্ষে ২০ জন। ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে চলেছে, যার ফলে প্রাণহানি এবং আহতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলে ইরানের হামলায় চারজন নিহত হন যাদের মধ্যে নারী, পুরুষ এবং শিশুও রয়েছে। এর মধ্যে হাইফা শহরেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দুইজন আহত এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন এবং বেসামরিক নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব হামলায় আরও ১,২৭৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইসরায়েলের জরুরি রক্ত সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলো রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে এবং দেশজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে যাতে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
তেল আবিব, জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে, তবে আইডিএফ বলছে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অভেদ্য নয়। সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে। জেরুজালেমে অবস্থানরত সিএনএনের একজন প্রযোজক নিশ্চিত করেছেন যে তিনি সরাসরি সাইরেনের শব্দ এবং বিস্ফোরণ শুনেছেন।
আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার পাশাপাশি ইসরায়েল এখন পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তাদের বিমানবাহিনী সশস্ত্র অভিযানে ব্যস্ত। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে বলেছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
অপরদিকে ইরান এখনো ইসরায়েলের প্রথম হামলার পূর্ণ প্রতিশোধ নেওয়ার অবস্থানে রয়েছে এবং কোনো যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ছে এবং বৃহৎ যুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।