ইরানের ওপর হামলার হুমকি, পাল্টা প্রস্তুতিতে দেশটির সেনাবাহিনী

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, সম্ভাব্য হামলার জবাবে প্রস্তুতি হিসেবে ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক ও বাহরাইনসহ আশপাশের কয়েকটি দেশকে একটি সতর্কতামূলক নোটিশ পাঠিয়েছে তেহরান। ওই নোটিশে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালানোর সময় যদি এসব দেশের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহার করে, তবে তা সরাসরি শত্রুতামূলক আচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে। সেই সঙ্গে এমন সহায়তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

ইরানি কর্মকর্তার দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও হুমকির মুখে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো ধরনের আপোস করবে না তেহরান। এদিকে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ইরান। তবে ওমানের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দেশটি।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে আলোচনার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আলোচনায় সাড়া না পেলে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থনৈতিক অবরোধ ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেন তিনি। এমনকি ব্যর্থ হলে ইরানের ওপর সরাসরি বোমা হামলার কথাও বলেন ট্রাম্প।

এই অবস্থায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের হুমকি ও চাপের রাজনীতিতে ইরান ভয় পায় না। বরং দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট বা অরাজকতা সৃষ্টির যেকোনও অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে। তিনি বলেন, ইরান শান্তি চায়, তবে জাতীয় নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষায় একচুলও পিছিয়ে যাবে না।