২০২৫ উপলক্ষে অধ্যাপক ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫ ১০:৩০ অপরাহ্ন
২০২৫ উপলক্ষে অধ্যাপক ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নববর্ষ-২০২৫ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি জানান, শুভেচ্ছা বার্তাটি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।  


চিঠিতে নরেন্দ্র মোদি সংক্ষেপে বলেন, ‘নতুন বছরের শুভেচ্ছা।’ এই বার্তায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এর আগেও ড. ইউনূসকে শুভকামনা জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, যখন তিনি গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।  


অগাস্টে মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা ড. ইউনূসকে শুভকামনা জানাচ্ছি। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। সেই বার্তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।  


অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা এবং নোবেলজয়ী হিসেবে তার সুনাম বাংলাদেশের সামগ্রিক চিত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।  


ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মোদি সরকারের আমলে এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। কূটনৈতিক পর্যায়ে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় দুই দেশের সহযোগিতার অগ্রগতি এবং আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  


নববর্ষের এই শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূসকে একজন বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশের প্রতি ভারতের ইতিবাচক মনোভাব এবং সমর্থন প্রদানের প্রতিফলন দেখা যায়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের শুভেচ্ছা বার্তা কূটনৈতিক সৌহার্দ্যের পাশাপাশি জনগণের মধ্যেও ভালো প্রভাব ফেলে।  


বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন বছরের এই বার্তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনের ইঙ্গিত বহন করে। ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর সমর্থন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি মোদির এই বার্তা বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।  


নববর্ষে এমন শুভেচ্ছা বিনিময় দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আস্থা বৃদ্ধির প্রতীক। এটি কেবল রাজনীতি নয়, দুই দেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং জনপরিসরের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনের ইঙ্গিত দেয়।