কুয়াকাটায় জমি দখল নিয়ে ৬ পরিবারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
কুয়াকাটায় জমি দখল নিয়ে ৬ পরিবারের অভিযোগ

কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি গাজী মো. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে জমি দখল, মামলা-হামলা এবং নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবেশী ছয়টি পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ইউসুফ বিশ্বাস।


লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গাজী মো. ইউসুফ আলী দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছয়টি পরিবারের জমি জবরদখল করে রেখেছিলেন। চলতি বছরের ৫ আগস্টের পরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তাদের জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হন। কিন্তু জমি উদ্ধারের পর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঁদাবাজি, মামলা এবং হুমকির মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে।


ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, "আমাদের জমি দখলে রেখে ইউসুফ গাজী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। ২০১৬ সালে মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হলেও আমরা জমি ভোগ করতে পারিনি। ৫ আগস্টের পর জমি উদ্ধার করার পর থেকে তারা আমাদের ওপর নির্যাতন আরও বাড়িয়েছে।"


অভিযোগে আরও জানানো হয়, প্রতিবেশী হাবিব মৃধার লাউসহ তিন শতাধিক গাছ কেটে ফেলে ইউসুফ গাজী ও তার পরিবারের সদস্যরা। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে, যার নম্বর ১৬৫৯/২০২৪।


সংবাদ সম্মেলনে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগীরা জানান, ইউসুফ গাজী বলেছেন, "শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় এলে তোমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবো।" এই ধরনের হুমকির কারণে তারা সামাজিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।


অন্যদিকে, গাজী মো. ইউসুফ আলী অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছেন যে, তার ৫০ বছরের ভোগদখলীয় জমি ভেকু দিয়ে মাটি কেটে দখল করে নিয়েছে শাহজাহান বিশ্বাস ও তার সহযোগীরা। তিনি বলেন, "তারা আমার জমি দখল করে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। ৫ আগস্ট আমাকে মারধর করে আমার পায়ের চার স্থানের হাড় ভেঙে দিয়েছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি, তাই গাছ কাটার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।"


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. হোসেন বিশ্বাস, মস্তফা ঘরামী, নুর নবী, শহীদ গাজী, কুলসুম, এবং হাবিব মৃধা দাবি করেন, তাদের বিএস রেকর্ডসহ জমির সব মালিকানার কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও গাজী মো. ইউসুফ জোরপূর্বক জমি দখল করেছিলেন।