এবার ত্রিপুরার হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা দিলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: রবিবার ১লা ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৫১ অপরাহ্ন
এবার ত্রিপুরার হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা দিলো

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার একটি হাসপাতালও বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএলএস হাসপাতাল, আগরতলায় অবস্থিত একটি মাল্টি-সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, গত শনিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। এর ফলে, কলকাতার পর এবার ত্রিপুরার হাসপাতালগুলোও বাংলাদেশের রোগীদের জন্য চিকিৎসা প্রদান বন্ধ করতে যাচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার রোগী প্রতি বছর চিকিৎসার জন্য ভারত ভ্রমণ করেন। কলকাতা, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য আসা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির কারণে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত ৫ আগস্ট দেশটির সরকার বিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে।

এদিকে, ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতালটি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালের কাছে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য একটি হেল্প ডেস্কও ছিল, তবে সেটিও বন্ধ করা হয়েছে। হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার জানিয়েছেন, স্থানীয় জনগণের দাবির পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাংলাদেশের রোগীরা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে অযথা চাপ সৃষ্টি করছিলেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্যও হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্তে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। গোটা ভারতকে এখন বাংলাদেশকে সমস্ত রকম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা উচিত।’’

এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের সীমান্তবর্তী হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ আরও সংকুচিত হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের সম্পর্কের এমন উত্তেজনা চিকিৎসা খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে, তা নিশ্চিতভাবেই স্পষ্ট।