পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান সংঘাতে গত ১০ দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪ জনে পৌঁছেছে। এই সহিংসতায় আহত হয়েছে আরও ১৫১ জন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংঘাতের সূত্রপাত ২১ নভেম্বর, যখন দুটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলা চালানো হয়, যাতে ৫২ জন নিহত হন। ওই হামলার পর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে ৯০ জন শিয়া এবং ৩৩ জন সুন্নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি।
যদিও সম্প্রতি সংঘর্ষ-বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তবে তা কার্যকর হয়নি। সংঘর্ষ-বিরতির পরও সহিংসতা অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং কমিউনিটি নেতারা সংঘর্ষ-বিরতির প্রচেষ্টা চালালেও বিচ্ছিন্ন সহিংসতা ও উন্মুক্ত হামলার কারণে এই উদ্যোগ সফল হতে পারছে না।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষের কারণে পেশোয়ার-পারাচিনার মহাসড়ক এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়েছে এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, খারলাচি সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে গেছে।
কুররামের উপকমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানিয়েছেন, প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংঘর্ষ-বিরতির মাধ্যমে শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এখনো শান্তির জন্য অপেক্ষা করছেন, এবং সরকারের কঠোর পদক্ষেপের আশা করছেন।
এদিকে, সংঘর্ষের জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন, কারণ ইন্টারনেট এবং মোবাইল সেবা বন্ধ থাকায় তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ কার্যক্রমও থমকে গেছে।
বিশ্বের এই অঞ্চলের জন্য এটি একটি নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে, যেখানে শান্তির জন্য একদিকে সরকার এবং অন্যদিকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মাঝে সমন্বয় প্রতিষ্ঠানের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।