গত আড়াই মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডে ধীরগতি দেখলেও, বিএনপি সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা সরকারের অডিও কথোপকথনকে গুরুত্ব দিয়ে সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা জানাচ্ছেন, আগামী নভেম্বরে মহানগরসহ সব সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশের আয়োজন করবে বিএনপি।
দলটি এ কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থান জনগণের সামনে তুলে ধরতে চায়। সমাবেশে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের পরিকল্পনাসহ নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবি তোলা হতে পারে। এর পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগের দোসরদের অপসারণের দাবি জানানো হবে।
দলটির সিনিয়র নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক অডিওতে হুমকি-ধমকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির নেতাদের বিশ্বাস, এই পরিস্থিতি আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর সুযোগ করে দিতে পারে।
দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার সময় এসেছে। বন্যার কারণে আগের কর্মসূচি স্থগিত থাকলেও, এখন সময় এসেছে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য মাঠে থাকার।
বিএনপি নেতারা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম-খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হলেও, জড়িত ব্যক্তিদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তারা উল্লেখ করেন যে, সরকারের নির্বাচনি সংস্কার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এছাড়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। তারা বলেন, “এটাই বিপ্লবের মূল বক্তব্য। জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা।”
বিএনপির নেতারা আশা করছেন, জনগণের মাঝে এই আন্দোলনের আওয়াজ আরো জোরালো হবে এবং তারা আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করবে। রাজপথে থাকার এই সিদ্ধান্ত তাদের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা জনগণের কাছাকাছি যেতে চান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।