রহস্যময় করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চীন। ১৮ জনের মৃত্যুর পর দেশের পাঁচ শহরে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সতর্কতায় বেজিংয়ের নির্দেশ, ওই পাঁচ শহরে কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। ট্রেন ছাড়বে না। বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, খুব প্রয়োজন ছাড়া শহরের বাইরে না বেরোতে।
বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, উহান শহরের সি-ফুড ও মাছ-মাংসের বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। এই বাজারে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর মাংস বেআইনি ভাবে বিক্রি হত। দেশজুড়ে সাড়ে ছ’শোরও বেশি লোক এখন আক্রান্ত। দেখা গেছে, বিদেশে আক্রান্তদের বেশির ভাগ চীন-ফেরত। সর্বশেষ খবরটি এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে। এর পরেই ভাইরাসের ‘উৎস’ উহান, হুয়াংগ্যাং ও ইঝৌ শহরকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
হুবেই প্রদেশের বন্দর-শহর উহানে ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের বাস। অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল, বিমান পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরবাসীদের মধ্যে। শুক্রবার উহানে এ নিয়ে সরকারি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরে একই নির্দেশ আসে হুয়াংগ্যাংয়ের বাসিন্দাদের কাছেও। ৭৫ লক্ষ মানুষের বাস এই শহরে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ট্রেন-সহ সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ সিনেমা হল, সাইবার কাফে, বাজার-দোকানও। ইঝৌ শহরও একই পথে হেঁটেছে। রাতের দিকে আরও দু’টি শহরে এ ঘোষণার আওতায় আনা হয়। ট্রেন-বিমানের পাশাপাশি ফেরি, বাস চলাচলও বন্ধ। এই সব শহরের স্টেশনগুলোতে নামানো হয়েছে সেনা-পুলিশ। স্টেশনের প্রবেশ পথে গার্ডরেল বসানো হয়েছে।
চীনা সোশ্যাল মিডিয়া ‘উইবো’তে একজন লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে যেন পৃথিবীর শেষ দিন।’ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া এই ভাইরাস আতঙ্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকে। আজ শনিবার, ২৫ জানুয়ারি চীনা নববর্ষ। প্রবাসীরা দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, উৎসবে মেতে ওঠেন। চীনজুড়ে স্টেশন ও বিমানবন্দরগুলোতে উপচে পড়ে ভীড় আর ভীড়। সেই ছবিটা এবার নেই।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।