পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কমেছে, কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম কমেনি এক পয়সাও

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কমেছে, কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম কমেনি এক পয়সাও

আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের বাজার তদারকি এবং পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি সেই দাম আবারও আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ এখন চড়া দামে সবজি, চাল, মুরগি ও মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে।


বর্তমানে বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা এবং টমেটো ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা দাবি করছেন, নীরব চাঁদাবাজি ও সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাবের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। যদিও কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।


মুরগির বাজারেও পরিস্থিতি একই। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে, সোনালি মুরগি ২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফিডের উচ্চমূল্যের কারণে মুরগির দাম কমানো যাচ্ছে না। 


মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ইলিশের দাম এখনও অনেক চড়া। রুই, টেংরা, পাবদা ও মলা মাছের দাম প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। তবে ইলিশ মাছ এখনও কেজি প্রতি ১,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক ব্যয়বহুল।


বন্যার অজুহাতে চালের দামও বেড়েছে। প্রতি বস্তা চালের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যদিও বাজারে চালের সরবরাহ যথেষ্ট, পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা এবং অসাধু করপোরেট চক্রের কারণে চালের দাম বাড়ছে। 


বিক্রেতারা আরও বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংস্থার বাজার তদারকির ফলে কিছুদিনের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমেছিল। কিন্তু তদারকির অভাব এবং চাঁদাবাজি ফের শুরু হওয়ায় বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে।


ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, নিত্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারা দাবি করছেন, মাঝেমধ্যে নয়, নিয়মিত বাজার তদারকি করতে হবে এবং মুনাফাখোরদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।


উল্লেখ্য, সয়াবিন, সরিষার তেল, ডাল এবং মসলা সহ কিছু পণ্যের দাম এখনও স্থিতিশীল রয়েছে, যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে।