সত্যি হল আশঙ্কা। স্বাধীনতা দিবসে রক্তাক্ত ইউক্রেন। বুধবার দেশটির পূর্বপ্রান্তে একটি রেল স্টেশনে রুশ রকেট হামলা’য় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২২জন। আহত অনেকেই। এমনটাই অভিযোগ কিয়েভের। আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, পূর্ব ইউক্রেনের চাপলিন শহরের একটি রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী ট্রেনে আছড়ে পড়ে রাশিয়ার সেনার ছোঁড়া রকেট। এই ভয়াবহ হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন, “হামলার পর দ্রুত কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।” কিয়েভ আরও বলেছে, ইউক্রেনের ছোট্ট শহর চাপলিনে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং গাড়ির পাঁচ আরোহীর সবাই নিহত হন।
এদিকে, জেলেনস্কির অভিযোগ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি রাশিয়া। তবে অতীতেও ইউক্রেনের অসামরিক জায়গায় হামলা চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। গত এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের আরেকটি ট্রেন স্টেশনে এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫০ যাত্রী নিহত হয়। রাশিয়া ওই হামলায় নিজের জড়িত থাকার অভিযোগ খারিজ করেছিল।
গতকাল, বুধবার স্বাধীনতার ৩১ বছর পেরিয়ে আসে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। তার কয়েকদিন আগেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময়ে প্রাণঘাতী হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, “চলতি সপ্তাহে খুব খারাপ কিছু করতে পারে রাশিয়া। আমাদের গণতন্ত্রে আঘাত করার জন্য সাংঘাতিক হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই হামলা করবে রাশিয়া।” অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।