মাত্র দুদিন আগে ৮১১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ডের পর ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড হয়েছে।
এটি ১৯৯৫ সালের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর। শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টিপাতকে পরিসংখ্যানে গণনা করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মেঘালয়ের পূর্ব খাশি নামের এলাকায় শুক্রবারের বৃষ্টিপাত ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় বড় পরিমাণ।
পৃথিবীর সবচেয়ে আর্দ্র জায়গাগুলোর একটি চেরাপুঞ্জিতে গত তিন দিনে আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি ২৭ বছরের মধ্যে তিন দিনে হওয়া বৃষ্টির পরিমাণের রেকর্ড বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। এর আগে ১৯৯৫ সালের ১৬ জুন চেরাপুঞ্জিতে এক দিনে ১ হাজার ৫৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তার আগের দিন ১৫ জুন হয়েছিল ৯৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি। খবর এনডিটিভি।
শুক্রবার পর্যন্ত চেরাপুঞ্জিতে ৪ হাজার ৮১ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে গোহাটিতে আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মরত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সংস্থাটি আরও জানায়, চেরাপুঞ্জিতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের উজানে আসামে গোয়াহাটিতে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এই দুই এলাকার ভাটি হিসেবে সিলেট ও কুড়িগ্রামে ওই পানি নামা শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে চলমান বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। শহরের ৯০ ভাগ বসতঘরে বানের পানি ঢুকে পড়েছে। ছাতক শহরের শতভাগ এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। সুনামগঞ্জ ও ছাতক পৌর এলাকার প্রধান সড়কে হাঁটুপানি থেকে কোমরপানিতে ডুবে আছে। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে অনায়াসে নৌকা চলাচল করছে। ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাঁচ স্থান কোমরপানিতে ডুবে থাকায় সুনামগঞ্জের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ছাতক, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভপুর উপজেলা। এসব এলাকার প্রধান সড়কে এখন সাঁতার পানিতে নিমজ্জিত। নৌকা ছাড়া এসব উপজেলায় যাওয়ার বিকল্প কোনো বাহন নেই। সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া, সাহেব বাড়িরঘাট, উকিলপাড়া, নতুনপাড়া, শান্তিবাগ হাছননগর, পাঠানবাড়ি জেলরোড, মধ্যবাজার,পশ্চিমবাজার, বড়পাড়া, আরপিনগর, মল্লিকপুর ওয়েজখালী, হাজীপাড়া, নবীনগরসহ ৯টি ওয়ার্ডের পাঁচ শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বানের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার ব্যবসায়ী।
বন্যায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জনাব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বন্যার কারণে সুনামগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বসতবাড়ির শত শত কারেন্টের মিটার পানিতে ডুবে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।