নিম্নবিত্তদের কথা চিন্তা করে এবার ‘সস্তা পেট্রল, সস্তা ডিজেল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যেন দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর না পড়ে সেজন্য ২৮ হাজার কোটি রুপির একটি তহবিলও ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীনরা।
সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) হঠাৎ করেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে পাকিস্তান সরকার। এরপরই মূলত ‘সস্তা পেট্রল, সস্তা ডিজেল’ কর্মসূচি ঘোষণার উদ্যোগ নেয় শাহবাজ প্রশাসন।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এবার উত্তাপ ছড়িয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে পেট্রল ও ডিজেলের দাম ৩০ রুপি করে বাড়ানোর পর দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়া শাহবাজ সরকার এবার নিম্ন আয়ের মানুষের চাপ কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রান্তিক পর্যায় ও কম আয়ের মানুষের জন্য সস্তা পেট্রল ও সস্তা ডিজেল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার। সেজন্য ২৮ হাজার কোটি রুপির একটি তহবিল ঘোষণা করেছে তারা। জুন থেকে এককালীন ২ হাজার রুপি করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল।
কেবল জ্বালানি নয়, গমের আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠে গেছে পাকিস্তানিদের। এজন্য রোববার (২৯ মে) এক জনসভায় খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খানকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ কেজি গমের আটার ব্যাগ ৪০০ রুপিতে আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। প্রয়োজনে নিজের জামা কাপড় বিক্রি করে জনগণকে কম দামে আটা খাওয়াবেন বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকার দায়ভার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর চাপিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শাহবাজ শরিফ ক্ষমতায় আসেন। এর আগে থেকেই অস্থির ছিল দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা। তবে বর্তমানে জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছে শাহবাজ সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।