প্রাণঘাতী করোনায় শনিবার বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৭৭ জন। ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ৯২৯ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটির গণ্ডি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৩০ হাজার এবং সুস্থ হয়েছেন ৫১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৮৭ জনের বেশি মানুষ।
রোববার (১২ জুন) করোনা আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, মহামারির শুরু থেকে এই পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৫ জনের এবং ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ইতালি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। এ সময় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৬৬৩ জন। ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ হাজার ৩৩২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন। উত্তর কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৮১০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪২৮ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৪২ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ৭২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১০৪ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৯০ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।
কানাডায় মারা গেছেন ১২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮২৫ জন। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫০১ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৮৬০ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। গ্রিসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৩৯ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৬১ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে চীনে। তারপর দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।