"ইউক্রেন থেকে দূরে সরো" পুতিনকে বার্তা নারী কুস্তিগীরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা মার্চ ২০২২ ০৬:০৮ অপরাহ্ন
"ইউক্রেন থেকে দূরে সরো" পুতিনকে বার্তা নারী কুস্তিগীরের

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন থামছেই না। এরই মধ্যে বহু মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এ ছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে অগুণিত মানুষ।


সংঘাত থামাতে একদফা শান্তি আলোচনা হলেও আসেনি কোনো সমাধান। এদিকে দেশমাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে আগ্রাসী রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে ইউক্রেনের তারকা অ্যাথলিটরা। এবার সে তালিকায় যোগ দিলেন দেশটির ‘আয়রন লেডি’ খ্যাত নারী কুস্তিগীর মারিনা মোরযও।


টিএমজি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। যেখানে পুতিনকে এ কুস্তিগীর বলেন, আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। ইউক্রেন থেকে দূরে সরো।


সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে ১৯৯১ সালে ইউক্রেনের ভিলনোহিরস্কে জন্মগ্রহণ করেন মোরয। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের হয়ে লড়তে বাড়িতেই গ্রেনেড তৈরি করছেন তার বাবা।


তিনি বলেন, ইউক্রেনের জন্য কঠিন সময় চলছে। আমার দেশ, প্রেসিডেন্ট এবং দেশের অতন্ত্র প্রহরীদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই। আমার পরিবার নিয়ে চিন্তিত।


এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ‘ইউএফসি ২৭২’ লড়াইয়ে নামছেন মারিনা। তিনি বলেন, আমি দেখাতে চাই যে আমরা ভেঙে পরিনি। এখনো লড়াই করে যাচ্ছি। শক্ত আছি। 


এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিলেন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইউক্রেনিয়ান বক্সার ভ্যাসিলি লোমাচেঙ্কো। ২০০৮ ও ২০১২ এর অলিম্পিক গোল্ড মেডেল জয়ী লোমাচেঙ্কো ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর তালিকাভুক্ত করেছেন। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রোববার সেনা পোশাক পরিহিত ছবি দিয়ে ৩৪ বছর বয়সী এই ইউক্রেনিয়ান জানাচ্ছেন লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত।


২০০৮ এর বেইজিং অলিম্পিক বক্সিংয়ে লোমাচেঙ্কো প্রথমবার স্বর্ণ জয় করেন ফেদারওয়েইট বিভাগে। এই বক্সার স্বর্ণ জয় করেন লন্ডন অলিম্পিকেও। সেবার অবশ্য তিনি জয় পান লাইট লাইটওয়েইট বিভাগে। পরবর্তীতে পেশাদার বক্সার হিসেবে রিংয়ে নামেন। সেখানে ১৬ জয়ের ১১টিতেই প্রতিপক্ষকে নকআউট করেন তিনি। ১৮ লড়াইয়ে তার পরাজয় দুটি।


ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন জানাচ্ছে, ইউক্রেনে যখন রাশিয়া আক্রমণ করে তখন লোমাচেঙ্কো গ্রিসে অবকাশ যাপন করছিলেন। হামলার খবর পেয়েই তিনি গ্রিস ত্যাগ করে ইউক্রেনের দিকে রওনা দেন। শনিবার তিনি ইউক্রেনের শহর ওডেসায় পৌঁছান। ওদেসা লোমাচেঙ্কোর নিজের শহর, যেখানে তার পরিবার ও নিজের লোকেরা আছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে যান।