ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দেশটির অন্যতম শহর খেরসনে আবারও হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনারা।মঙ্গলবার (১ মার্চ) ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভে আবার আক্রমণ শুরু করেছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ফেসবুকে সতর্ক করে বলেছেন, কিয়েভের চারপাশের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। যদিও শত্রুরা আক্রমণের ক্ষমতা হারাচ্ছে, তবে সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।ওই পোস্টে দাবি করা হয়, রাশিয়া বেলারুশের উচ্চ প্রশিক্ষিত সামরিক ইউনিট এবং তার সামরিক বিমান চলাচলের জন্য বেলারুশিয়ান আকাশসীমা ব্যবহার করতে পরিকল্পনা করছে।
এদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ সেনারা দক্ষিণে মাইকোলাইভ ও নিউ কাখোভকার মধ্যবর্তী শহর খেরসনে হামলা শুরু করেছে।মঙ্গলবার ইউক্রেনের স্পেশাল কমিউনিকেশন ও ইনফরমেশন প্রোটেকশন সার্ভিস টেলিগ্রামে পোস্টে বলেছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শত্রুরা বিমানবন্দর থেকে নিকোলাইভ হাইওয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এর আগে বিবিসি ইউক্রেন জানিয়েছে, খেরসন বিমানবন্দরের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।খেরসনের আঞ্চলিক রাজ্য প্রশাসন ফেসবুকে জানিয়েছে, শহরটি রাশিয়ান সৈন্যরা ঘিরে ফেলেছে কিন্তু এখনও দখল করেনি।
শহরটির মেয়র আরও বলেন, রুশ সেনাবাহিনী শহরের প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে।মেয়র ইগর কোলিখায়ে ফেসবুকে লেখেন, পরিস্থিতি কীভাবে উন্নতি হবে, তা বলা কঠিন। খেরসনে ইউক্রেনীয়রা ছিলেন এবং থাকবেন।
মেয়র আরও লেখেন, আমি আপনাদের প্রত্যেককে শান্ত ও বিচক্ষণ থাকতে বলছি। কারফিউ চলাকালীন বাইরে যাবেন না। কারও সঙ্গে আক্রমনাত্মক আলোচনায় জড়াবেন না। শত্রুকে সংঘাতে উসকানি দেবেন না।এর আগে সোমবার চলমান সংঘাত নিয়ে আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। বেলারুশ সীমান্তের গোমেল শহরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে।
সোমবার বেলারুশ সীমান্তে আলোচনা শেষে দুই পক্ষই পরামর্শের জন্য তাদের রাজধানীতে ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক।সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দুই পক্ষই আরেক দফা আলোচনায় বসতে পারে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫২ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং এক হাজার ৬৮৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাশিয়ার ৫ হাজার ৩০০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।