‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে মিলল হ্রদের কঙ্কালসার দেহ! সাড়ে তিনশো কোটি বছর আগে যা ছিল টলটলে পানিতে ভরা। চওড়ায় ১০০ মাইল বা ১৫০ কিলোমিটার। সেই শুকিয়ে যাওয়া সুবিশাল হ্রদের খাত থেকে গা বেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আলো ঝলসানো লবণের পাহাড়। মঙ্গলের অসম্ভব রুখুসুখু লালচে পিঠে ঢুঁড়ে বেড়াতে গিয়ে ‘কুমারী কৌতূহলে’র চোখে পড়ল এ হ্রদ। ‘কুমারী কৌতূহল’ মঙ্গলে ঘুরে-চরে বেড়ানো নাসার রোভার ‘মিস কিউরিওসিটি’র বাংলা নাম। নাসার বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-জিওসায়েন্স’-এ।
নাসার রোভারের কৌতূহলী চোখে ধরা পড়া শুকিয়ে যাওয়া সুবিশল হ্রদটির ওই লবণ খাওয়ার লবণ নয়। খনিজ লবণ। উচ্চতায় যা কম করে ৫০০ ফুট। যেন প্ল্যাটিনামের ভাণ্ডার! বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, সেই লবণের পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে এখনও লুকিয়ে রয়েছে প্রচুর পানি। নাসার রোভার এমন সব নমুনা খুঁজে পেয়েছে লাল গ্রহের সেই ‘গেইল ক্রেটার’ এলাকায়, যা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলে টলটলে জনা ভরা হ্রদটি ছিল অবিকল দক্ষিণ আমেরিকার আল্টিপ্ল্যানোতে লবণাক্ত কুইসকুইরো হ্রদের মতোই!
মঙ্গলের রুখুসুখু পিঠে সেই প্রাচীন হ্রদের পানি যে লবণাক্ত ছিল, তারও প্রমাণ পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। রোভার ‘কিউরিওসিটি’ সেই হ্রদের খাত থেকে গা বেয়ে লবণের পাহাড়কে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে। উচ্চতায় যা ৫০০ ফুট বা ১৫০ মিটার। নাসা সেই এলাকার নাম দিয়েছে ‘সাট্ন আইল্যান্ড’। রোভার কিউরিওসিটি যে এলাকা ঢুঁড়ে বেরিয়েছিল বছর দু’য়েক আগে। বিভিন্ন সময়ে মঙ্গলের বুকে গ্রহাণু, উল্কাপিণ্ড আর ধূমকেতুরা আছড়ে পড়ার ফলেই তৈরি হয়েছিল সেই গেইল ক্রেটার এলাকা। যা মূলত ছিল সুবিশাল গহ্বর। পরে পানির স্রোত এসে ভরিয়ে দেয় গহ্বর। পরে বাতাসের ঠেলায় ওই এলাকায় জন্ম হয় মাউন্ট শার্পের মতো সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।