বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা, যারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের মালিক, এবার চ্যাটজিপিটি’র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যাপ ঘোষণা করেছে। মেটার এই নতুন এআই অ্যাপটি অত্যাধুনিক ভাষা প্রক্রিয়া এবং স্বাভাবিক ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে, যা বর্তমান বাজারে মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআই এর চ্যাটজিপিটি’র জন্য একটি বড় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। মেটার এই উদ্যোগটি সাইবার স্পেসে নতুন পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করবে, যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত এবং সঠিক উত্তর দেওয়া, বিভিন্ন ধরনের ভাষাগত সমস্যা সমাধান করা, এবং বহুল পরিচিত প্রশ্ন-উত্তর পদ্ধতিতে কাজ করা। এর মাধ্যমে মেটা একটি নতুন যুগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেবা প্রদান করতে চাইছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের দৈনন্দিন জীবনে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
এআই প্রযুক্তি দিন দিন আরও উন্নত হচ্ছে এবং মেটা নিজেকে সেই উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন অ্যাপটির মাধ্যমে মেটা গ্রাহকদের কাছে নিজেদের প্রযুক্তি সুবিধা আরও বাড়াতে সক্ষম হবে। মেটার পরিকল্পনা শুধুমাত্র একটি সাধারণ এআই অ্যাপ নির্মাণ নয়, বরং এমন একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তৈরি করা, যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে এবং ভবিষ্যতে এআই প্রযুক্তির বিকাশে বড় ভূমিকা পালন করবে।
এআই অ্যাপটি মেটার মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্মিত হয়েছে, যা হল ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেটার নতুন এআই অ্যাপের সম্ভাবনা অসীম, এবং এটি ভবিষ্যতে অনেক বড় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অংশ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে, মেটার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফট তাদের নিজস্ব চ্যাটজিপিটি এবং গুগল বার্ডের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শক্তিশালী এআই সেবা প্রদান করছে। মেটা, তবে, একে প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখতে না চেয়ে, ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব প্রযুক্তি তৈরির দিকে নজর দিচ্ছে।
এআই প্রযুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তৃত আলোচনা শুরু হয়ে গেছে এবং মেটার এই নতুন অ্যাপটি আরও বেশি মানুষকে এআই এর সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করবে। এটি এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যত সম্ভাবনার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, যা বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।