নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, রিয়াজুল ইসলাম মাসুম নাটোর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান জানান, রুপপুর এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় স্থানীয়রা মাসুমকে শনাক্ত করে। পরে তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ছাত্র ও জনতার ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যাসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম মাসুম একসময় ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তবে পরে তার নাম বিভিন্ন বিতর্কিত ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলা এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি।
পুলিশ জানায়, মাসুমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া তার গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পর থেকেই নাটোর শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মাসুমের গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এক পক্ষ তার গ্রেপ্তারকে ন্যায়সংগত বলে দাবি করছে, অন্য পক্ষ এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে।
পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাসুম বেশ কিছুদিন ধরে এই এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপরই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাসুমের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোতে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিচার প্রক্রিয়া থমকে ছিল। তার গ্রেপ্তার নতুন করে তাদের আশা জাগিয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মাসুমকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা বেরিয়ে আসবে। একই সঙ্গে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্যও পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।