জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কোনো বিভাজন থাকা উচিত নয়। সবাই সাংবিধানিকভাবে সমান। শুক্রবার যশোর ইদগাহ ময়দানে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা একই রাষ্ট্রের নাগরিক। সংখ্যালঘু বলে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। যদি কেউ আপনাদের সংখ্যালঘু বলে, তাকে স্পষ্ট ভাষায় বলবেন, আমরা সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘুদের অধিকারে সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ করেছে আওয়ামী লীগ। “২০১৩ সালে জাতিসংঘে চিঠি লিখে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছিলাম। এখনও বলছি, নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। দোষী প্রমাণিত হলে নিজের বিচার দাবি করছি,” বলেন তিনি।
কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের আমির চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও ঘুষমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “জামায়াত সুযোগ পেলে দেশ থেকে চাঁদাবাজি ও ঘুষের মতো দুর্নীতি চিরতরে দূর করা হবে। আমরা সুশাসনের জন্য কাজ করতে চাই।”
আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে ডা. শফিক বলেন, “তাদের শাসনে ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ। সরকারের উচিত সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার স্থিতিশীল করা।”
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা এমন একটি শিক্ষা চাই যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধু সার্টিফিকেট নয়, চাকরিও পাবে।”
নারীর অধিকার নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জামায়াত ইসলাম নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।”
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাগুরা জেলা আমির এম বি বাকের, নড়াইল জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু এবং অন্যান্য নেতারা।
সম্মেলনে দলীয় কর্মীরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে অংশ নেন এবং জাতীয় স্বার্থে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।