ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৩২ অপরাহ্ন
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা

চলতি মাসেই মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উন্নয়নশীল আট মুসলিম দেশের জোট ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যোগ দিতে মিসর সফর করবেন। এদিকে, কায়রোতে তার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এ তথ্য জানায়। সংবাদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিসর সফরে থাকবেন এবং ডি-৮ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সম্মেলনটি হবে ডি-৮ জোটের একাদশ শীর্ষ সম্মেলন, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ওপর আলোচনা হবে।


ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মিসর, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং তুরস্ক। এই জোটের লক্ষ্য মূলত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক উন্নয়ন। গাজা ও লেবাননে চলমান মানবিক সংকট নিয়ে সম্মেলনে বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে যৌথ প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হবে।


এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিসর সফর করবেন এবং ১৯ ডিসেম্বর ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবেন। 


এছাড়া, ড. ইউনূস ও শেহবাজ শরিফের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠককে ঘিরে কূটনৈতিক মহলে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে, এই দুই নেতা সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে একটি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য সার্ক পুনর্গঠনের ওপর আলোচনা করেছিলেন। 


এদিকে, ঢাকা থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কায়রোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে ড. ইউনূসের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। 


ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, বাণিজ্য বৈচিত্র্য, এবং উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, সম্মেলনে গাজা ও লেবাননের মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।