মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে প্রতারিত হওয়া শতাধিক মানুষ ফেরত এসেছে বাড়ি, এবং তাদের ২৫০ টাকা ফেরত চেয়ে প্রতারক দবির হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করেছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে 'অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ' নামে একটি সংগঠনের ডাকা সমাবেশে যোগ দিতে দবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি মানিকগঞ্জ থেকে শতাধিক লোক ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে, তাদের প্রত্যাশিত সুফল মিলেনি, বরং নানা প্রতারণার শিকার হয়ে তারা ফিরে এসেছেন খালি হাতে।
দবির হোসেন ও তার সহযোগীরা সাধারণ মানুষকে সুদমুক্ত ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বাসে করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের দাবি ছিল, ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি থাকবে, যেখানে প্রত্যেককে এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হবে। প্রতারক দল প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেয়।
তবে, ঢাকায় পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি বদলে যায়। শাহবাগ এলাকায় পৌঁছানোর পর স্থানীয় লোকজন তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, এবং পুলিশ গাড়িগুলো ফেরত পাঠিয়ে দেয়। যাত্রীদের কাউকেই ঋণ বা সহায়তা না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে ফিরে আসে। বাড়ি ফেরার পর তারা দবির হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করেন এবং তাদের টাকা ফেরত চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, এখনও ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আমানুল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় দবির হোসেন, তার স্ত্রী চামিলি আক্তার ও অন্যান্য সহযোগীদের আটক করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাদেরকে ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা শুধুমাত্র প্রতারণার শিকার হয়েছে। এদিকে, স্থানীয়রা এবং সমাজকর্মীরা জানান, এ ধরনের প্রতারণা সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।