নওগাঁর ধামইরহাটে অবস্থিত আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী। তিনি গতকাল (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এই সফর করেন এবং উদ্যানের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি আলতাদিঘী দিঘির পুনঃ খনন, নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য নির্মিত দ্বিতল ডরমেটরি, অবজারভেশন টাওয়ার, সুভেনির শপ এবং সৌন্দর্যবর্ধনকারী বাগানসহ শালবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকারের উদ্যোগ ও কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।
প্রধান বন সংরক্ষক তার পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "শালবন এবং জাতীয় উদ্যানের সুরক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। তাদের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণ ছাড়া বন সংরক্ষণ কার্যক্রম সফল হওয়া সম্ভব নয়।" তিনি আরও বলেন, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বগুড়া অঞ্চলের বন সংরক্ষক সুবেদার ইসলাম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ, এসিএফ মেহেদিজ্জামান, পাইকবান্দা রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারহাদ জাহান লিটন, রাজশাহী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, ধামইরহাট বিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, এবং উন্নয়ন কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত এ্যকুমেন আর্কিটেক্টস এন্ড প্লানার্স লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের কার্যক্রমের মধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি অগ্রাধিকার পাবे। স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বনসংরক্ষণ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ৬৬২ হেক্টর জমির ওপর আলতাদিঘী ও শালবনকে নিয়ে "আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান" ঘোষণা করা হয়, যা এখন পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পর্যটন উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।