জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, যিনি সম্প্রতি "ছাগলকাণ্ড" নামে পরিচিত একটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন, হাইকোর্টে বিদেশ যাওয়ার জন্য রিট করেছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) তার আইনজীবী এ রিটটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেন।
এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, ২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। দুদক উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। অনুসন্ধান টিমের মাধ্যমে তাদের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই করা হচ্ছে, এবং এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে দুদক, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ পেলে, প্রতিবারই নানা প্রভাবশালী কৌশলের মাধ্যমে তিনি ওই অভিযোগগুলো ধামাচাপা দিয়ে ক্লিন শিট পেয়েছিলেন। তবে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পুনরায় সামনে আসে।
ঈদুল আজহার আগে, মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়, এবং এর পরই এনবিআরের এই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ভিডিওতে ছাগলের দামের পরিমাণ এবং এর মাধ্যমে যে দালালি বা কালোবাজারির সম্ভবনা দেখা দেয়, তা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।
দুদক ইতোমধ্যে জানিয়েছে, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং যদি প্রয়োজন হয়, তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এদিকে, তার বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন, যাতে তার দেশত্যাগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তাধীন থাকলেও, তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কবে আসবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যথেষ্ট কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।