ভারতে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়ন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ইউএসএআইডিকে সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হলেও এখন দেখা যাচ্ছে, তারা ভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করেছে। শনিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য উৎসবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জয়শঙ্কর বলেন, শুধুমাত্র বাড়িতে বসে থাকলেই নিরাপদ থাকা যায় না। চিন্তার প্রক্রিয়া, প্রভাব, মনোবল এবং সঠিক-ভুলের ধারণা ফোন ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রভাবিত হতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু সংস্থা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে নিজেদের বয়ান প্রচার করছে এবং সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে ঐতিহাসিকভাবে ইউএসএআইডিকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, সংস্থাটি ভালো কাজের আড়ালে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করেছে। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে এর সঙ্গে জড়িতদের দেশবাসীর জানা উচিত।
ভারতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন জানা যায়, ভোটারদের সচেতন করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠানো হয়েছিল। এ নিয়ে দেশটির সরকার ও বিরোধী দল একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে গভর্নরদের একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের নতুন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জানায়, বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ইউএসএআইডির সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। একই দিনে ভারতের ভোটার সচেতনতা কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ১০ লাখ ডলারসহ ১১টি দেশের আর্থিক সহায়তা স্থগিত করা হয়।
এ নিয়ে ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন বিদেশি অনুদানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন নীতিমালা তৈরির কথা ভাবছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিতর্ক ভারতের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং আসন্ন নির্বাচনের আগে এটি বড় ইস্যু হয়ে উঠতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।