নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর-শাহাগোলা রাস্তার তারাটিয়া ব্রিজ নির্মাণের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ। বিশেষ করে, চলাচলের জন্য নির্মিত কাঠের নিচু ফুটওভার সেতুটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী চরম বিপাকে পড়েছেন। এখন খালটি পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর-শাহাগোলা স্টেশন বাজার রাস্তায় ২০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে নওগাঁ এলজিইডি বিভাগ। গত বছরের ৯ নভেম্বর ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং চলতি মাসের ১৪ তারিখে কাজটি সমাপ্ত করার কথা ছিল। তবে, ঠিকাদার পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে ফেলার পর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, ঠিকাদার কাজ শুরু করার আগে স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই একটি নিচু কাঠের সেতু নির্মাণ করেন, যা খালের পানির মাত্রা বৃদ্ধি পেতেই তলিয়ে যায়। এর ফলে, পথচারীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শাহাগোলা, ভবানীপুর, তারাটিয়া, শ্রীরামপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় জীবনযাত্রা থমকে পড়েছে।
এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন, সুজন, আব্দুর রশিদসহ অন্যান্যরা জানান, "শুষ্ক মৌসুমে ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হলেও দ্রুত কাজ শুরু না হওয়ায় আমাদের পণ্য পরিবহনে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।"
এদিকে, ঠিকাদার দিদারুল ইসলাম জানান, "বন্যার পানি নেমে গেলে কাজ শুরু করব। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে কাজ শেষের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।" তবে, আত্রাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না তুলেছেন।
নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, "বর্ষা মৌসুমের কারণে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পানি নেমে গেলে ঠিকাদারকে কাজ করতে বাধ্য করা হবে। এখানে ঠিকাদারের লাপাত্তার কোন সুযোগ নেই।"
এ অবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত কাজ শুরু করার দাবি জানাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।