আগৈলঝাড়ায় ধ্বসে পড়ল ব্রিজ, তিন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: শুক্রবার ১০ই মে ২০২৪ ০৭:২০ অপরাহ্ন
আগৈলঝাড়ায় ধ্বসে পড়ল ব্রিজ, তিন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজ খালের মধ্যে ধ্বসে পড়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে তিন গ্রামের মানুষ। উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের রামেরবাজার থেকে সাহেবেরহাট খালের উপর ২০০০ সালে এলজিইডি’র অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল। যে ব্রিজটির মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার ছয় বছর পর ভেঙ্গে পরলো।


 


এলাকাবাসী জানায়, ব্রিজটির মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার ছয় বছর পরও এলজিইডি বিভাগকে জানালেও তারা সংস্কারের কোন ব্যবস্থা করেনি। গত বুধবার রাতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি খালের মধ্যে ধ্বসে পরে।


 


ব্রিজটির বিকলাবস্থার কারনে আগে থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল, শুধু পায়ে হেটে চলাচল সম্ভব ছিল। সবশেষ ব্রিজটি ধ্বসে পরার কারনে তাও বন্ধ হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ইরি ব্লকের চাষীরা। বিকল্প কোনো যাতায়াতের পথ না থাকায়, ব্রিজের পাশে কোনভাবে সাকো নির্মান করে পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি শিশু-বৃদ্ধরা।


 


পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক প্রবীর বিশ্বাস ননী জানান, এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে তাদের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। ব্রিজটি ধ্বসে পড়ায় এখন আর কোন যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছেনা। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাকো দিয়ে পার হয়ে পায়ে হেটে বাড়ি যেতে হচ্ছে।


 


স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য অমল হালদার বলেন, ২০০০ সালে নির্মিত এই ব্রিজটিতে মানুষ উঠলেই সবাই আতংঙ্কে থাকতো। অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য বারবার বলা সত্বেও সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো মাথা ব্যথাই নেই।


 


স্থানীয় লীলা বিশ্বাস বলেন, এই ব্রিজের উপর দিয়ে পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে।  ব্রিজটির লোহার খুঁটি এবং ঢালাই স্লাব ধ্বসে যাওয়ায় পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবার চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পরেছেন।


 


ধান ব্যবসায়ী অজয় সমদ্দার জানান, এই এলাকায় প্রচুর পরিমানে ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার চাষীরা ধান বিক্রি করতে চাইলেও শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের কারনে কোন পরিবহন নিতে না পারায় ধান কিনতে পারছি না।


 


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আয়রন ব্রিজটি ধ্বসে পড়ার খবর পেয়েছি। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। যাতে করে সেতুটি সংস্কার করা হলে এই এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।