নওগাঁর মান্দায় জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ করায় প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা এক সাংবাদিককে মারধর করেছে। হামলার শিকার ওই সাংবাদিক দৈনিক যুগান্তর ও জাগোনিউজ এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিকে প্রসাদপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভেতরে এ হামলার ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত সূত্র জানিয়েছে।
জানাগেছে, মান্দা উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের আসাদ আলী জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতিতে আসেন সাংবাদিক আব্বাস আলীর বড় ভাই আসাদ আলী। তিনি এক দলিল লেখকের সঙ্গে আলোচনা করলে ১০ দশমিক ৫ টাকা হারে ১২ লাখ টাকার দলিলে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়।
বিষয়টি আসাদ আলী তার ছোট ভাইস সাংবাদিক আব্বাস আলীকে জানান। আব্বাস মুঠোফোনে দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তারকে কিছুটা কম খরচে করার জন্য অনুরোধ জানান।
এরপর বেলাসাড়ে ১১টার দিকে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে এসে বাবুল আক্তারের কাছে মূলত: সরকারি খরচ কত তা জানতে চান। এ সময় বাবুল আক্তার বলেন, বুঝতে হলে সমিতিতে ভর্তি হতে হবে এবং ক্লাস করতে হবে। এক পর্যায়ে সমিতি থেকে তাকে জোরপূর্বক বের করে দেয়।
পরে আব্বাস সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে দেখা করতে গেলে সেখান থেকে থেকে তাকে বাবুল আক্তার ও সাংগঠনিকসম্পাদক আলামিন রানার নেতৃত্বে ১০/১২ জন কিলঘুষি মারতে শুরু করে। এ সময় তার বড় ভাই বাধা দিতে গেলে তাকেও চর থাপ্পর মারেন তারা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
প্রত্যক্ষদর্শী শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমিও জমি রেজিষ্ট্রি করতে গিয়েছিলাম। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে দলিল লেখক সমিতির ১০-১২ জন সদস্য সাবরেজিস্ট্রার অফিসের ভিতরে সাংবাদিক আব্বাসকে মারপিট করতে লাগলে আমি উদ্ধার করতে গেলে নিজেও আঘাতপ্রাপ্ত হই।
আহত সাংবাদিক আব্বাস বলেন, তিনি সাব রেজিষ্টারের নাম্বার সংগ্রহ করতে সেখানে গেলে তারা প্রবেশ করা মাত্রই অতর্কিত হামলা চালায়।
মান্দা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন তিনি অফিসে ছিলেন না। বিষয়টি জানার পর উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করলেও কোন পক্ষ বসতে রাজি হননি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান তিনি।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, ঘটনাটি আমি মৌখিকভাবে জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি তদন্তের জন্য। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।