গোয়ালন্দে তারুণ্যের উৎসবে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আন্তঃস্কুল ও আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রথমে "তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ" শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

আন্তঃস্কুল পর্যায়ে ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, হাত ধোয়ার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় দুটি দল। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং রানার্স আপ হয় দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুল। শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার পান গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দলনেতা ফাইজা রাব্বী।

অপরদিকে, আন্তঃকলেজ পর্যায়ে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের চেয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজ এবং রানার্স আপ হয় গোয়ালন্দ সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজ। আন্তঃকলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজের দলনেতা মেরিন আক্তার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আসাদুজ্জামান। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুল মোহিত হীরা, ওসি তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ, এবং সাংস্কৃতিক কর্মী নির্মল চক্রবর্তী।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার আন্তঃস্কুল পর্যায়ের মডারেটর ছিলেন রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আঃ কাদের শেখ। আন্তঃকলেজ পর্যায়ের মডারেটর ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার সিদ্দিকা, প্রভাষক লিয়াকত হোসেন লিমু, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিঞা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক, এবং পরিসংখ্যান কর্মকর্তা দীপ্তি রানী পাল।

অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জয়ন্ত দাস।